লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ গত সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রত্যাশিত মনোনয়ন না পেয়ে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান সুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আনারস মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেন। ওই  নির্বাচনে তিনি  জয় লাভ করেন।আর এই ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর সাথে এক মত পোষণ করেছিল এবারের  পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র পদে মনোনয়ন  প্রত্যাশীদের দুই জন। এর মধ্যে একজন হলো  পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন।

সে সময়  তিনি  দলীয় নির্দেশ অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে মাঠে নেমেছিলেন। এ নিয়ে তৃণমূলে ক্ষোপ  দেখা দিলেও সব সময় পার পেয়ে যায় বিদ্রোহীরা ও তাদের সহযোগীরা । তবে এবার আর নয়। আসন্ন পৌরসভা  নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী দেয়ার ক্ষেত্রে বিদ্রোহীদের বিষয়ে ছিল কঠোর নির্দেশনা । বিদ্রোহীরা মনোনয়ন পেলেও পরে আবার প্রত্যাহার করে অন্যকে মনোনয়ন দিতে দেখা গেছে। এই শাস্তি তৃণমূলে আস্থা বেড়েছে। তবে  আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে অর্ধশতাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের সহযোগীরা রয়েছে।এদিকে,আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন,আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনসহ সব নির্বাচনের জন্য এটা একটা ফলপ্রসূ নির্বাচনী সিদ্ধান্ত। যারা নৌকার বিরোধিতা করেছে তাদের নৌকা দেয়া হবে না। নৌকার বিরোধী করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা  করা তিনজনকেই মনোনীত করে পরে বাদ দেয়া হয়েছে। এটা একটা বার্তা। নৌকার বিরোধিতা অতীতে যারা করেছে তারা ভবিষ্যতের জন্য সংশোধন হয়ে যাবে। যে কোনো নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করলেই তাকেই আর নৌকা দেয়া হবে না ।এই নিয়ে তৃণমূলে ক্ষোপে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকেই স্ট্যাটাস দিয়েছেন। যা নিন্মে তুলে ধরা হলো, শুনলে মোদের হাঁসি পায়  নৌকার বিরোধীতা করে পৌর নির্বাচনে এরাই আবার নৌকা চায়। “”লজ্জায় মরে যাই নৌকার বিরোধীতাকারীরা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চায়। “”দুইদিন আগে যারা নৌকার বিরোধীতা করে উপজেলা নির্বাচন করলো , তারা আবার পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতীক চায় কোন লজ্জায়। “এমনি অনেক ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছেন অনেকেই সেখানে দেখায় যায়  মনোনয়ন প্রত্যাশী মোফাজ্জল হোসেন  ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মোরাল এ ফুলের মালা গলায় পরে জয়ের ফটোসেশন করছেন।