বিশেষ প্রতিনিধি।
ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০নং মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উদ্বেগ উৎকন্ঠায় সময় পার করছে কক্সবাজার জেলার মানুষ। তৎমধ্যে বেশী ঝুকির মধ্যে রয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দা। গতকাল পর্যন্ত বিভিন্ন ট্রলার ও স্প্রীড বোটে করে ১২ শতাধিক শতাধিক নারী-পুরুষ আশ্রয়ের উদ্দ্যেশ্যে টেকনাফে চলে এসেছে।
সেন্টমার্টিনের সাবেক চেয়ারম্যান নূর আহমদ ‘বার্তা বাজার’কে জানান- দ্বীপের পশিমপাড়া, মাঝের পাড়া ও উত্তর পাড়া মিলিয়ে সাইক্লোন সেল্টার রয়েছে মোট ৩টি। এসব আশ্রয় কেন্দ্র সর্বোচ্চ আড়াই হাজার লোকের ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন। তবে দ্বীপের আরো ৩ শতাধিক আবাসিক হোটেল ও কটেজ গুলো প্রশাসনিক ভাবে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউপি সদস্য আল নোমান জানান, সবচেয়ে ঝুঁকি পূর্ণ দক্ষিন পাড়ার প্রায় দুই হাজার মানুষের জন্য কোন আশ্রয় কেন্দ্র নেই। তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে এবং স্থানীয় ভলান্টিয়ারদের সহযোগীতায় তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে পৌছে দেয়া হচ্ছে।
কোস্টগার্ড সেটমার্টিন স্টেশন কমান্ডার আব্দুল মালেক ‘বার্তা বাজার’কে জানান- সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত ৮০ ভাগ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে অবস্থান নিয়েছে। দক্ষিনপাড়ার লোকজন গুলো সেন্টমার্টিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হচ্ছে। বিজিবি, পুলিশ, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড ট্রাস্কফোর্স দূর্যোগ মোকাবিলায় মাঠে রয়েছে।
তিনি আরো জানান, দুপুর পর্যন্ত বাতাসের গতিবেগ স্বাভাবিক ছিলো। আকাশ মেঘলা ও গুড়ি গুড়ি বৃষি হচ্ছে। দুপুরের দিকে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশী ছিলো। তবে জোয়ার লোকালয়ে প্রবেশ করেনি। বিকেলের পরে জোয়ারের পানি একটু বাড়তে শুরু করেছে সাথে সাথে একটু বাতাসের তিব্রতাও বাড়ছে।
এদিকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া এমন লোকজনের সাথে মোটোফোনে কথা হলে তারা জানান, আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিলেও উদ্বেগ-উৎকন্ঠা কিছুতেই কাটছেনা। আবহাওয়া বুলেটিন শুনলেই কলিজা মুচড় দিয়ে উঠে। সব মিলিয়ে চরম ভয়ের মাঝে আছি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে যারা অবস্থান নিয়েছে তাদের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপদ পানি ও শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
Leave a Reply