অগ্রযাত্রা ডেস্ক: নারী তার আনুগত্য ও ফরমাবরদারী দ্বারাই স্বামীর ভালবাসা ও সন্তুষ্টি করতে পারে। অর্থাৎ স্ত্রী যখন তার স্বামীর প্রতিটি বৈধ নির্দেশ মেনে চলবে, তখন স্বামী তার ওপর স্বীয় মন-প্রাণ উজাড় করে দেবে। একজন ভদ্রলােকের পক্ষে যতটুকু আদর-ভালবাসা সম্ভব, তার সবটুকুই সে করবে। বস্তুত স্বামীর বৈধ আনুগত্যই নারীর ভূষণ। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের ঘােষণা ও
المرأة إذا صلت خمسها وصامت شهرها وأحصنت
ها و طاعت بعلها تدخل من أي أبواب الجنة شاءت
“নারী যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে, রমযান মাসের রােজা পালন করে, স্বীয় যৌনাঙ্গ হিফাযত করে এবং স্বামীর আনুগত্য করে, তবে সে জান্নাতের যে দর দিয়ে চাইবে, প্রবেশ করতে পারবে।”
-মিশকাত
নামায-রােযা ও ইযযত-আবরু রক্ষার সাথে সাথে স্বামীর আনুগত্য করাও আবশ্যক বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে। এ হাদীসে ইঙ্গিত করা হয়েছে, নারীর যেমন আল্লাহর হক আদায় করা জরুরী, তেমনি স্বামীর হক আদায় করাও তার কর্তব্য স্বামীর হক নষ্ট করে নারী কখনাে সফলকাম হতে পারে না। নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামকে একবার জিজ্ঞাসা করা হলাে, “ভালাে স্ত্রী কে?” তিনি উত্তরে বললেন ঃ
التي تشه إذا نظر وطي اذا مر ولا تخالف في
نفسها ولا مالها بمایگره –
“যে স্ত্রীর দিকে স্বামী তাকালে তার মন খুশী হয়, যে স্ত্রীকে কোনাে বৈধ আদেশ দিলে তা পালন করে, যে স্ত্রী তার জান ও মাল দ্বারা স্বামীর অপছন্দনীয় কোনাে কাজ করে না সে-ই আদর্শ স্ত্রী।”
-মিশকাত
স্বামীর আনুগত্য করার তাকীদ এর চেয়ে মনােহর ভঙ্গিতে আর কি হতে পারে? বস্তুত যে নারীর মধ্যে উপরােক্ত গুণাবলি অনুপস্থিত, তাকে নিশ্চিতভাবেই জেনে রাখতে হবে যে, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের নিকট সে ভালাে স্ত্রী নয়। আর যা-ই হােক, যে স্ত্রী আল্লাহর রাসূলের দৃষ্টিতে ভালাে নয়, সেতাে বড়ই হতভাগা ।
Leave a Reply