নিজস্ব প্রতিবেদক:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে স্কুলছাত্রী রেশমাকে হত্যা করে সম্পর্কের ইতি টানলেন প্রেমিক দিপেশ উরাং। গত বৃহস্পতিবার চা বাগান থেকে রেশমার গলিত লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়। সেই সঙ্গে হত্যার সঙ্গে জড়িত ঘাতক প্রেমিক দিপেশ উরাংকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে রেশমার ছোট ভাই রহমত আলী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। একই রাতে ঘাতক প্রেমিক সিএনজিচালক দিপেশ উরাংকে সুনছড়া চা বাগান বাজার থেকে আটক করা হয়। তিনি সুনছড়া চা বাগানের মারাং উরাং এর ছেলে। রোববার বিকেল ৪টায় তাকে মৌলভীবাজার আদালতে পাঠালে ১৬৪ ধারায় হত্যার বিবরণ দেন দিপেশ।
পুলিশ ও ঘাতক প্রেমিকের জবানবন্দিতে জানা যায়, দিপেশের সঙ্গে স্কুলছাত্রী রেশমা বেগমের প্রেম ছিল। একপর্যায়ে দিপেশ রেশমার সঙ্গে সর্ম্পক ছিন্ন করতে চাইলে রেশমা রাজি হওয়ায় হত্যার পরিকল্পনা নেয় দিপেশ। পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ৯ নভেম্বর বিকেলে বেড়ানোর কথা বলে রেশমাকে তার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে রহিমপুর ইউপির দেওড়াছড়া চা বাগানের ভেতরের একটি টিলায় নিয়ে যায়। সেখানে দুজনে গল্পের ছলে রেশমা বসা অবস্থায় কৌশলে পেছন থেকে গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে প্রেমিক দিপেশ। হত্যার পর রেশমার লাশ টেনে নিয়ে পার্শ্ববর্তী অন্য টিলায় ফেলে দেয় সে।
কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, লাশের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে শনিবার সকালে লাশটি রেশমার বলে নিশ্চিত করে তার পরিবার। শনিবার রাতেই ঘটনার মূল আসামি দিপেশকে আটক করে তার জবানবন্দি অনুযায়ী হত্যার আলামত উদ্ধার করা হয়।
Leave a Reply