মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মৌলভীবাজারের বিভিন্ন যায়গায় সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে যাওয়া সিএনজি গাড়িতে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া নেওয়ার খবরে এবং লাইলি বেগমের সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মৌলভীবাজার পরিবহন শ্রমিক সংগঠন এর সাধারণ সম্পাদক, কুসুমবাগ সিএনজি ষ্ট্যান্ড এর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং কাগাবলা সিএনজি স্ট্যান্ড এর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় ডাকা হয়। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার জেলা কাযালয়ের সহকারী পরিচালক এই বিষয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সিএনজি স্ট্যান্ড এর সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকগণ লিখিত বক্তব্যে বলেন সিএনজি পাম্পে সিএনজি পেতে সাম্প্রতিক সময়ে সমস্যা ছিলো এবং সারা রাত সিএনজির ড্রাইভাররা দাঁড়িয়ে গ্যাস নিয়েছে। এতে কোন কোন ড্রাইভার অতিরিক্ত ভাড়া নিতে পারেন। বিষয়টি তাদের অগোচরে হয়েছে। এই ধরণের অন্যায় যাতে আর না হয় তারা ড্রাইভারদের সর্তক করবেন মর্মে লিখিত স্বীকারোক্তি দেন। প্রত্যেকটি সিএনজি স্ট্যান্ডে ভাড়ার মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে রাখবেন মর্মেও অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। লাইলি বেগমের লিখিত অভিযোগ- কাগাবলা থেকে কুসুমবাগ পর্যন্ত সিএনজি গাড়ি ড্রাইভার তার কাছ থেকে ৩৫ টাকার বদলে ৫০ টাকা নিয়েছে এবং ড্রাইভার তার সাথে বাজে ব্যবহার করেছে।আজকের শুনানীতে লাইলি বেগমের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুসুমবাগ সিএনজি স্ট্যান্ড এর সভাপতিকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরিবহন নেতারা সকলেই অঙ্গিকার ব্যক্ত যে ভবিষ্যতে তাদের দায়বদ্ধতার জায়গায় তারা আরো দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিবেন। পাশাপাশি দিব্য পুরকায়স্থ ও আমিনুল ইসলাম নামের দুইজন অভিযোগকারী অভিযোগের প্রেক্ষিতে শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত পানসি রেষ্টুরেন্টকে ৪ হাজার টাকা এবং কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগরে অবস্থিত নজরুল এন্টারপ্রাইজকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং আইন অনুযায়ী ২৫% শতাংশ হারে মোট তিনজকে ১,৭৫০ টাকা প্রদান করা হয়।
Leave a Reply