মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজারে তাবিজ না পড়ার জেরে স্ত্রীর শরীরে জলন্ত চুলার গরম পানি দিয়ে শরীর ঝলসে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে অনামিকা দেব (২৭) নামে এক গৃহবধূর স্বামী সঞ্জিত কান্তি নাগ এর বিরুদ্ধে। বর্তমানে গৃহবধূ অনামিকা দেব গুরুতর আহত অবস্থায় মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের দ্বিতীয়তলার সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধিন আছেন।
গত রবিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কনকপুর ইউনিয়নের আব্দা গ্রামে ঘটনাটি ঘটলেও তা প্রকাশ পায় সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ অনামিকা দেবের শরীরের ঘার থেকে পিঠের বড় একটা অংশজুরে গরম পানি পড়ে ঝলসে যাওয়ার কারনে বড় বড় পুসকা উঠে যায়। এতে করে প্রচন্ড যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন ঐ গৃহবধূ।
একমাত্র শিশু পুত্রকে সাথে নিয়ে হাসপাতালের বেডে চিকিৎসাধীন অনামিকা দেব কান্নাজরিত কন্ঠে জানান, ২০১৬ সালের দিকে পারিবারিকভাবে আব্দা গ্রামের সঞ্জিত কান্তি নাগ এর সাথে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামীর সাথে কলহ লেগে থাকতো। রবিবার সকালের দিকে স্বামীর জন্য চা বানাচ্ছিলাম। এমন সময় স্বামী সঞ্জিত কান্তি নাগ হটাৎ করে কবিরাজের কাছ থেকে নিয়ে আসা তাবিজ পড়তে চাপ দিচ্ছিলেন। আমি তাবিজ পড়তে অনীহা দেখাতে শুরু হয় কথা কাটাকাটি, একপর্যায়ে রাগে চুলার মধ্যে থাকা গরম পানি আমার শরীরে ঢালতে চাইলে আমি কৌশলে সরে যাওয়ার সময় পিঠের মধ্যে গরম পানি ঢেলে দেন। এঘনায় আমার চিৎকারে পরিবারের কেউ এগিয়ে না আসায় প্রথমে ৯৯৯ নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করলে আমাকে ভয়ভীতি দেখানো হয়।
এদিকে এঘটনায় স্বামী সঞ্জিত কান্তি নাগ এর বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন স্ত্রী অনামিকা দেব। তবে স্বামী সঞ্জিত কান্তি নাগ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এগুলো সব মিথ্যা,সে ইচ্ছে করে শরীরে গরম পানি ঢেলেছে আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিলো,এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ থানায় এসেছে, আমরার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
Leave a Reply