মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে সাপের কামড়ে এক চা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় চিকিৎসার অবহেলার অভিযোগ এনে লাশ নিয়ে আড়াই ঘণ্টা আন্দোলন করে শ্রমিকরা। এতে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকে শ্রীমঙ্গল কালীঘাট সড়কটি। মৃত রঞ্জন গোয়ালা (৪৫) উপজেলার কালীঘাট ইউনিয়নের কাকিয়াছড়ার বাসিন্দা।
কালীঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রাণেশ গোয়ালা জানান, ‘বাগানের হাসপাতালে চিকিৎসার অবহেলায় সাপের কামড়ে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় ২৪ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে শ্রীমঙ্গল ফিনলে চা বাগানের ফুলছড়া অফিস ভাঙচুর করে। এ সময় তারা রাস্তা বন্ধ করে রাখে। পরে বাগান কর্তৃপক্ষ তার পরিবারকে সহায়তার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।’ এ ব্যাপারে বাগানের বাসিন্দা সুধীর গোয়ালা জানান, শুক্রবার ফুলচড়া কালিটিলার নিচে বাগানে কাজ করার সময় রঞ্জন গোয়ালার সাপের কামড়ে আহত হন। এ সময় তার পা দিয়ে রক্ত ঝড়ার পাশাপাশি পা ফুলে যায়। রঞ্জন সাথে সাথে অন্য শ্রমিকদের ডেকে তাকে সাপে কামড় দিয়েছে বলে জানালে তারা প্রথমে বাগানের হাসপাতালে ও পরে ফিনলের বালিশিরা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তিন দিন চিকিৎসার পর তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রোববার রাতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় তার মৃত্যু হয়।’তিনি জানান, ‘হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেছেন সময়মতো চিকিৎসা শুরু না করায় রঞ্জনের মৃত্যু হয়েছে। এ খবরে বাগানের শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে মঙ্গলবার সকালে লাশ নিয়ে মিছিল করে। পরে ফুলছড়া অফিসের সামানে লাশ রেখে তারা প্রতিবাদ জানায়। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিকদের চাপাচাপিতে একটি জানালার কাচঁ ভেঙে যায়। সকাল ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে কালীঘাট সড়ক।’ খবর পেয়ে ফিনলে বালিশিরা ডিভিশনের জিএম সৈয়দ সালাউদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে তার সৎকারের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের কাজের নিশ্চয়তা প্রদান করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন জানালে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।এ ব্যাপারে বালিশিরা ডিভিশনের জিএম সৈয়দ সালাউদ্দিন জানান,‘শ্রমিকদের আন্দোলনের খবর পেয়ে সাথে সাথেই তিনি ঘটনাস্থলে যান এবং শ্রমিক নেতাদের নিয়ে মারা যাওয়া শ্রমিক রঞ্জনের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে লাশ সৎকারের ব্যবস্থা করেন।’এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাত হোসেন চৌধুরী জানান, ‘সাপের কামড়ের বিষয়টি কেউ অবগত করেনি। আর বাগানের হাসপাতালে সাপে কামড়ের ভ্যাকসিন থাকার কথা নয়। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Leave a Reply