অগ্রযাত্রা সংবাদ ঃ
দীর্ঘ চার ঘণ্টা পর সিলেট রুটের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। পৌনে তিন ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর বিকেল ৪টা ৪৫ মি: সিলেটের উদ্দেশ্যে শ্রীমঙ্গল ছেড়ে যায় ৭১৯- আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস।
এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে ট্রেনের যাত্রীদের। চট্টগ্রাম থেকে সকাল সাড়ে ৬টায় ছেড়ে আসা এই পাহাড়িকা এক্সপ্রেস দুপুর ২টায় এসে পৌঁছায় শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশনে।
এ সময় যাত্রীদের এদিক সেদিক ঘোরাফেরা করে অশান্তির মধ্যে সময় পার করতে দেখা গেছে।
শনিবার (১১জুন) ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী আন্তঃনগর ট্রেন ৭০৯ পারাবত এক্সপ্রেসের পাওয়ার কারে আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এসময় পাওয়ার কার এবং চ ও ঙ বগিসহ মোট তিনটি বগি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ট্রেনটি শমসেরনগর রেলস্টেশন ছেড়ে দের কি: মি: সামনে শমশেরনগর বিমান ঘাঁটি এলাকায় পৌঁছার সাথে সাথে এমন দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় ৪ ঘন্টা অচল ছিল সিলেট রুটের ট্রেন চলাচল। শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাখাওয়াত হোসেন প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, সিলেট অভিমুখী পারাবত ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনায় দীর্ঘ সময় বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে কয়েকটি ট্রেন। এরমধ্যে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ৭১৮ জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস কুলাউড়ার লংলা রেলওয়ে স্টেশনে, সিলেটগামী আন্তঃনগর ৭১৭ জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস হবিগঞ্জের মনতলা রেলওয়ে স্টেশনে এবং সিলেটগামী আন্তঃনগর ৭১৯ পাহাড়িকা এক্সপ্রেস দীর্ঘ সময় ধরে যাত্রী নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনে।
তিনি আরও বলেন, অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত আন্তঃনগর পারাবত ট্রেনটির আগুন নিভিয়ে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করার পর পুনরায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে,ফায়ার সার্ভিস শ্রীমঙ্গল- কমলগঞ্জের ৩টি ইউনিট এবং শমশেরনগর বিমান বাহিনীর স্টেশনের ১টি ইউনিটসহ মোট ৪ ইউনিটের দীর্ঘ সময়ের যৌথ প্রচেষ্টায় এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ক্ষতির পরিমাণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি বলে তারা জানান।
Leave a Reply