অগ্রযাত্রা সংবাদ ঃ
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে প্লাস্টিকের চাল বিক্রির অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন একজন ভোক্তা।প্রাথমিক তদন্তে ওই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গত সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ইউএনও কার্যালয়ে জমা দেওয়া এই অভিযোগ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। অভিযুক্ত দোকানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চালানো হয়েছে অভিযান। তদন্তের জন্য ইতিমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে চালের নমুনা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অভিযোগকারী বাক্তির নাম সুলতান মাহমুদ। তিনি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের ইলিশকোল গ্রামের বাসিন্দা । তিনি বলেন, “২০ জানুয়ারি বালিয়াকান্দি বাজারের অরুণের দোকান থেকে ১৬ কেজি বিনা গোল্ড চাল কিনি। ওই চালের ভাতও খেয়েছি। পরশু আমার স্ত্রী পিঠা তৈরি করতে গেলে বাধে বিপত্তি। ব্লেন্ডারে দিলে প্লাস্টিকের দানার মতো তৈরি হলে সন্দেহ হয়। পরে ইউএনওর কাছে অভিযোগ জানাই।”
এই বিষয়ে অভিযুক্ত খুচরা বিক্রেতার অরুণ কুন্ডু জানান, তিনি আব্দুল মান্নান খান নামে একজনের কাছ থেকে চাল পাইকারি কেনেন।
তিনি আরো জানিয়েছেন, “মান্নানের কাছ থেকে মাস খানেক আগে ১৫ বস্তা বিনা গোল্ড চাল পাইকারি কিনেছি। সুলতান সাহেব আমার কাছ থেকেই চাল নিয়েছিল। আসলে আমি তো খুচরা বিক্রি করি। কীভাবে বুঝব এটায় ভেজাল আছে। প্লাস্টিকের চাল কি না সেটা আমি জানি না।”
পাইকারী বিক্রেতা আবদুল মান্নান বলেন, “আমি ছয়-সাত বছর ধরে টিসিবির ডিলার। প্রায় পাঁচ-ছয় মাস আগে বেনাপোল থেকে পাঁচ টন চাল সংগ্রহ করি। আমার কাছ থেকে চাল নিয়ে বিক্রি করেন অরুণ। তিনি অন্য ডিলারের কাছ থেকেও চাল কেনেন। আমি টাকা দিয়ে ভালো চাল কিনি, আমার ব্যবসায় সুনাম রয়েছে।”
এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও হাসিবুল হাসান বলেন, ‘সোমবার অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা বিষয়টি পরীক্ষা করেছি। সাধারণ চাল আগুন দিয়ে পোড়ানো হলে তা পুড়ে যায় বা মচমচে ভাজা হয়ে যায়। কিন্তু এই চাল আগুন দেওয়ার পর গলে একটি পিণ্ড বা দলার মতো হয়ে যায়প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এগুলো প্লাস্টিকের চাল। এরপর অধিকতর পরীক্ষার জন্য তা ঢাকায় পাঠানো হবে। অভিযোগের সত্যতা পেলে পরবর্তীতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
Leave a Reply