নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত ১৪ শ্রমিকের মধ্যে ১২ জনই সুনামগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। এর মধ্যে দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া, রাধানগর ও রফিনগর ইউনিয়নের মোট নয়জন এবং শান্তিগঞ্জ উপজেলার বীরগাঁও ও শিমুলবাঁক ইউনিয়নের তিনজন মারা গেছেন বলে জানা গেছে। পেশায় এরা সবাই নির্মাণ শ্রমিক। সন্ধ্যার পর এদের সবার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় নিহতদের সিলেট থেকে সুনামগঞ্জের তাদের নিজ নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।এরআগে বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকায় বালুবাহী ট্রাক ও শ্রমিক বহনকারী পিকআপের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হন।
সন্ধ্যার পর প্রথমে ভাটিপাড়া গ্রামের রশিদ মিয়া ও বাদশা মিয়ার জানাজা পড়ানো হয়। জানাজার নামাজে গ্রামের আশপাশের শোকার্ত লোকজনসহ দিরাই উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুর রহমান মামুন অংশগ্রহণ করেন। এশার নামাজের আগে ও পরে একে একে সবার জানাজা শেষে নিজ নিজ গ্রামে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
দিরাই উপজেলার নিহতরা হলেন- আলীনগর গ্রামের মৃত শিশু মিয়ার ছেলে হারিস মিয়া (৫০), একই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে সৌরভ মিয়া (২৬), একই গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে বাদশা মিয়া (১৯), মৃত সজিব আলীর ছেলে রশিদ মিয়া (৫০), মৃত মফিজ মিয়ার ছেলে সায়েদ নুর (৬০), সাগর আহমদ (১৮), উপজেলার মধুপুর গ্রামের মৃত সোনাই মিয়ার ছেলে সাধু মিয়া (৪০), গছিয়া গ্রামের মৃত বারিক উল্লাহর ছেলে সিজিল মিয়া (৩৫) ও কাইমা গ্রামের মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে একলিম মিয়া (৫৫)।
ইউএনও মাহমুদুর রহমান মামুন সন্ধ্যায় বলেন, নিহতদের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। আমি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী সাহেব অধিকাংশের জানাজায় অংশ গ্রহণ করি। নিহতরা সবাই আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল। আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে তাদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছি।
এদিকে শান্তিগঞ্জ উপজেলার মারা গেছেন তিনজন। এরা হচ্ছেন- পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের বাবনগাঁও গ্রামের মৃত ওয়াহাব মিয়ার ছেলে শাহিন মিয়া (৫০), শিমুলবাঁক ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (২৬) ও তলেরবন্দ গ্রামের মৃত আমান উল্লাহর ছেলে আউলাদ তালুকদার (৫০)। এদের মধ্যে শাহিন মিয়ার লাশ তার স্বজনেরা সিলেটে দাফন করেছেন বলে তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে। অপর দুইজনের লাশ তাদের নিজ নিজ গ্রামে রাতেই জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ বলেন, নিহতদের পরিবারের সহযোগিতায় উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সম্ভব সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।
Leave a Reply