আব্দুল বাছিত খান ঃকয়েকদিন অব্যাহত বৃষ্টির কারণে মৌলভীবাজারে মাঠের সবজি, আমন ধানের বীজতলা ও আউশধানের চারাগাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন কৃষক। এছাড়া বৃষ্টির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ৩ দিনের অব্যাহত বৃষ্টির কারণে জেলার নদ-নদীতেও পানি বাড়ছে। মৌলভীবাজার শহরসহ বিভিন্ন হাটবাজার ও বাসাবাড়িতে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।
কুলাউড়া উপজেলার ফানাই নদীর ভাংগনে কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ১৮ জুন বিকালে কুলাউড়া থানাধীন ১৩নং কর্মধা ইউনিয়নের অন্তর্গত মহিষমারা গ্রামে প্রবাহিত ফানাই নদী রক্ষা বাঁধের ভেঙ্গে যাওয়া অংশ জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুছ ছালেক, পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) মোঃ আমিনুল ইসলাম, ১৩নং কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড, মৌলভীবাজারের প্রতিনিধিসহ ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধের অংশ মেরামতের কাজ চলমান আছে। জনসাধারণকে আতংকিত না হওয়ার জন্য বলা হইল।
এদিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মনুমুখ ও খলিলপুর ইউনিয়নের আংশিক কুশিয়ারা নদীর পানি ডুকে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বন্যার্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
কৃষকরা জানান, ধারাবাহিক বৃষ্টির কারণে সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর মাঝে বৃহস্পতিবার থেকে আবার ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টি কমলেও বেশির ভাগ সবজি খেত আর বাঁচানো যাবেনা। মৌসুমের এই সময়ে এমনিতেই সবজির কিছুটা অভাব থাকে। এর মধ্যে কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টি সবধরনের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়।
অন্যদিকে টানা ভারী বৃষ্টির কারণে জেলার নদনদীর পানি বেড়েই চলছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে এ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বন্যায় প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে ৩ দিনর গুড়িগুড়ি বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। বিশেষ করে রিকশা, ভ্যান গাড়ি, দিনমুজুর ও ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে।
Leave a Reply