

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রাম অঞ্চলে নির্বাচনি দায়িত্বশীল সম্মেলনে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীর ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য নিয়ে দিনভর আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। গতকাল রাত থেকে মেইনস্ট্রিম গণমাধ্যম কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম— সবখানেই তার বক্তব্য অনেকটা তোপের মুখে জামায়াত। তবে এ ব্যাপারে দলটির স্পষ্ট বক্তব্য— ‘সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীর দেয়া বক্তব্য একান্তই তার নিজের এবং এ বক্তব্য দলটি সমর্থন করে না।’
জামায়াতে ইসলামীর ভেরিভাইড ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে আজ (রোববার, ২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দলটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পোস্টে দেয়া বিবৃতিতে জামায়াত বলছে, ‘বক্তব্যটি আমরা দেখেছি। এটা একান্তই উনার বক্তব্য। এটার ব্যাখ্যা উনি ভালো দিতে পারবেন। তার এ বক্তব্য জামায়াত সমর্থন করে না। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। এ ঘটনায় আমরা অভ্যন্তরীণভাবেও আমাদের মতো ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, প্রশাসন পূর্ণ পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। এখানে আমাদের হস্তক্ষেপের কিছু নেই। অতীতে প্রশাসনের যারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেননি, তারা দেশের ক্ষতি করেছেন।’
প্রসঙ্গত, গতকাল (শনিবার, ২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে জামায়াতের চট্টগ্রামের নির্বাচনী দায়িত্বশীলদের সমাবেশে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন শুধু জনগণকে দিয়ে নয়। আমি ন্যাশনালি বলবো না, যার যার নির্বাচনি এলাকায় যারা আছে, প্রশাসনে যারা আছে, তাদেরকে অবশ্যই আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে, আমাদের কথায় গ্রেপ্তার করবে, আমাদের কথায় মামলা করবে।’
ওই বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘যার যার নির্বাচনি এলাকায় প্রাইমারি স্কুলের মাস্টারকে দাঁড়িপাল্লার কথা বলতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষককে দাঁড়িপাল্লার কথা বলতে হবে। পুলিশকে আপনার পেছনে পেছনে হাঁটতে হবে। ওসি সাহেব আপনার কী প্রোগ্রাম সকাল বেলায় জেনে নেবে, আর আপনাকে প্রোটোকল দেবে। টিএনও (ইউএনও) সাহেব যা উন্নয়ন এসেছে, সমস্ত উন্নয়নের হিসেবে যিনি নমিনি (জামায়াতের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী) তার থেকে খুঁজে বের করতে হবে।’
তার এর বক্তব্য মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বক্তব্যের ভিডিও এবং বিভিন্ন ফটোকার্ড। এমনকি শাহজাহান চৌধুরীর এ বক্তব্যের জেরে বিএনপির পক্ষ থেকে গ্রেপ্তারের দাবিও উঠেছে।