
প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ৫, ২০২৫, ১১:২২ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ২৮, ২০২৫, ১০:৫৯ অপরাহ্ণ
আজ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের ৫৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের ৫৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ। ১৯৭১ সালের ২৮ অক্টোবর মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই সীমান্তে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে তিনি শহীদ হন। জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৮ অক্টোবর ভোরে কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই সীমান্তে তৎকালীন সীমান্তরক্ষী ইপিআরের ক্যাম্পে শক্তিশালী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর একটি আস্তায় গ্র্যানেড হামলা করে গুড়িয়ে দিয়েছিলেন বীরশ্রেষ্ঠী সিপাহী হামিদুর রহমান। সেখান থেকে ফেরার পথে পাকবাহিনীর একটি দলের ছোড়া গুলিতে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন তিনি।
হামিদুর রহমান ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খোরদা খালিশপুর গ্রামে ১৯৫৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আক্কাস আলী ম-ল এবং মায়ের নাম কায়মুন্নেসা। মাত্র ১৮ বছর বয়সে শহীদ হওয়া সিপাহি হামিদুর রহমান ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ পদকপ্রাপ্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। হামিদুরের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরের খোরদা খালিশপুর গ্রামে।
বিএনপি সরকার আমলে ধলই সীমান্তে ঘটনাস্থল এলাকায় চিরসবুজ চা-বাগানের মাঝে স্থাপন করা হয় বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ। বর্তমানে স্মৃতিসৌধ এলাকায় মুক্তিযুদ্ধে তথ্য ও চিত্র সমন্বয়ে এখানে গড়েছে বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান জাদুঘর। দেশের মুক্তির জন্য জীবনদানকারী এই বীরের গল্প জানতে কমলগঞ্জের ধলই চা-বাগানে প্রতিষ্ঠিত বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান জাদুঘরে নিয়মিত দেশি-বিদেশি পর্যটক আসেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সুত্রধর বলেন, আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছি একই সাথে কমলগঞ্জ থেকে ধলই সীমান্তে যে সড়ক গেছে ঐ সড়ক টির নাম বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান করার জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি।
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা অথবা ভিডিও কপি করা সম্পন্ন বেআইনি