অগ্রযাত্রা সংবাদঃ
পরিবেশ সংরক্ষণ ও তাপমাত্রা কমানোর জন্য বন-জঙ্গল ও গাছপালা অতি প্রয়োজনীয়, যা মানুষ নির্বিচারে ধ্বংসে মেতেছে। মানবজাতি জীবনধারণের জন্য সর্বাবস্থায় প্রয়োজনীয় বৃক্ষরাজি ও গাছপালা বনায়ন ও রোপণ না করে কেবল কেটে কেটে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছে, ফলে পৃথিবীতে বৃষ্টিপাতের অভাব হচ্ছে। মানুষ প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করার ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে এবং পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। অথচ আল্লাহ মনোরম প্রকৃতি, বন-জঙ্গল ও গাছপালার মাধ্যমেই বায়ু সঞ্চালন করেন, পৃথিবীর তাপমাত্রা কমানোর জন্য ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন এবং জীবজগৎকে বাঁচিয়ে রাখেন। পৃথিবীর মানুষকে গাছপালা ও পাহাড়-পর্বত ধ্বংস না করার জন্য সতর্কবাণী দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তিনিই আল্লাহ, যিনি বায়ু প্রেরণ করেন, অতঃপর তা (বায়ু) মেঘমালাকে সঞ্চালিত করে। অতঃপর তিনি মেঘমালাকে যেভাবে ইচ্ছা আকাশে ছড়িয়ে দেন এবং তাকে (মেঘমালাকে) স্তরে স্তরে রাখেন। এরপর তুমি দেখতে পাও যে তার মধ্য হতে বৃষ্টিধারা নির্গত হয়। তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদের ইচ্ছা তা (বৃষ্টি) পৌঁছান; তখন তারা আনন্দিত হয়।’ (সূরা আর-রুম, আয়াত: ৩৮)
অসহ্য গরম আর অসহনীয় তাপদাহে পুড়ছে সারা দেশ। দেশজুড়ে চলছে বৃষ্টির জন্য হাহাকার। প্রচন্ড গরম-তাপদাহে হাপিয়ে উঠেছে জনজীবন। ঠিক কবে এবং কখন ঝরবে এই রহমতের ঝর্ণাধারা? কবে দূরীভূত হবে এই তাপদাহ? অনাবৃষ্টির কারনে বর্তমানে বিভিন্ন ফসলাদী , পশুপাখি ও মানবজীবন হুমকির সম্মুখীন। বৃষ্টির জন্য ৩০ মে রবিবার সকাল ১১ টার সময় মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সালাতুল ইস্তিস্কা নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয় সকাল ১১টায়। নামাজের ইমামতি করেন মুন্সিবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাও: জয়নাল আবেদীন,এছাড়াও উপস্তিত ছিলেন মুন্সিবাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিপার আহমেদ তরফদার, নাহিদ আহমদ তরফদার, সৈয়দ রুহুল আমিন,
হেলাল আহমেদ তরফদার, গোলাম কিবরিয়া হিমেল,ইব্রাহিম আহমেদ সুমন,হাফিজ মোস্তাক আহমসহ শত শত মুসল্লি উপস্তিত ছিলেন। নামাজ শেষে মোনাজাতে কান্নার রোল, আকাশ বাতাস যেন ভারী হয়ে উঠেছে।
Leave a Reply